প্রকাশ :
২৪খবরবিডি: 'নারায়ণগঞ্জে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষে শাওন আহমেদ রাজা নিহতের ঘটনায় ডিবি পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মাহফুজুর রহমান কনককে প্রধান আসামি করে পুলিশের ৪২ সদস্যের নাম উল্লেখ করে আদালতে করা মামলার আবেদন খারিজ করেছেন আদালত।'
'এ ছাড়া মামলায় অন্য যাদের আসামি করা হয়েছিল- অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক অঞ্চল) নাজমুল হাসান, সদর মডেল থানার উপ পরিদর্শক কামরুজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিবি) তারিকুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম) আমীর খসরু, পুলিশ সদস্য শাহরুল আলম, সোহাগ, আরিফ দেওয়ান, ফেরদৌস দেওয়ান, সেলিম, রিপন, যুগল, মামুন, রিয়াজ, হাফিজ, সহকারী উপ পরিদর্শক ইকবাল হোসেন, দেলোয়ার হোসেন, পুলিশ সদস্য জাকির হোসেন, নাঈম, রাকিব, আনিস, সাইদুল, এএসআই সোহরাব, পুলিশ সদস্য ইনজামামুল, রাসেল, খলিলুর রহমান, মোহসিন মিয়া, মোস্তাকিম, শাহাদাৎ হোসেন, ফখরুল ইসলাম, আরিফ দেওয়ান, দীপক সাহা, শাহীন, ফরিদ উদ্দিন, মুরাদুজ্জামান,
নারায়ণগঞ্জে শাওনের মৃত্যু: 'পুলিশের বিরুদ্ধে বিএনপির মামলার আবেদন খারিজ'
শাহীন, কবির হোসেন, মান্নান, রুবেল, সোহাগসহ জেলা পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটে কর্মরত অজ্ঞাত পরিচয় আরও ১০০-১৫০ জন। মাসুদ আহমেদ তালুকদার শুনানি শেষে উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, গত বৃহস্পতিবার বিএনপির ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে সমগ্র বাংলাদেশে বিএনপির নেতাকর্মীরা শান্তিপূর্ণ র্যালি করেছে। কিন্তু নারায়ণগঞ্জসহ দেশের কিছু স্থানে বিনা উসকানিতে পুলিশ র্যালিতে সরাসরি গুলি করেছে। এতে বহু নেতাকর্মী আহত হয়েছেন এবং যুবদল কর্মী শাওন গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান। এই ঘটনাগুলো আমরা মিডিয়ার মাধ্যমে জেনে আদালতে মামলার আবেদন করি। মামলায় নারায়ণগঞ্জ পুলিশের ৪২ জনকে আসামি করা হয়েছে।'
'থানা সূত্রে জানা যায়, এ ঘটনায় নিহত শাওনের বড় ভাই মিলন হোসেন বাদী হয়ে গত বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে বিএনপির পাঁচ হাজার নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে সদর মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। আর পরদিন শুক্রবার সন্ধ্যায় সদর মডেল থানার এসআই কামরুজ্জামান বাদী হয়ে বিএনপির ৭১ জন নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত পরিচয় আরও ৮০০-৯০০ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় ১০ জনকে ঘটনার দিনই গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তবে নিহত শাওনের বড় ভাই মিলন হোসেন ও মেঝ ভাই ফরহাদ হোসেন দাবি করে আসছেন, তারা কোনো মামলা করেননি। শাওনের লাশ হস্তান্তরের জন্য আইনি প্রক্রিয়ার কথা বলে বেশ কয়েকটি কাগজে মিলনের স্বাক্ষর নেওয়া হয়েছে। তারা জানেন না সেখানে মামলা সংক্রান্ত কোনো কাগজ ছিল কি না। তাদের দাবি নিহত শাওন যুবদলের রাজনীতি করতো। ঘটনার দিন সে বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গেই নগরের ডিআইটি এলাকায় ছিল। যেহেতু বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে ছিলেন সেহেতু বিএনপির কেউ তাকে মারেনি।অপরদিকে নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল দাবি করেছেন, নিহতের ভাই-ই মামলা দায়ের করেছেন। এ সংক্রান্ত সিসিটিভির ফুটেজ পুলিশের কাছে সংরক্ষিত আছে।'